Breaking

Saturday, January 11, 2020

শরীরের কোনো জায়গা মচকে গলে চুন-হলুদ গরম করে লাগলে আরাম হয় কেন? -- জানা-অজানা


আসসালামু আলইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা সকলের প্রত্যাশা। আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিদিনের জীবনে আমরা যা কিছু দেখি, যা কিছু আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকে-তাদের ঘিরে কতই না প্রশ্ন মনে ভির করে। প্রশ্নগুলো অনেক সময় সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত উত্তর আর মেলে না। প্রাত্যহিক জীবনের এমনই কিছু প্রশ্ন আর তার উত্তর নিয়ে আমি আজ লিখছি।

আজকের বিষয় : শরীরের কোনো জায়গা মচকে গেলে চুন-হলুদ গরম করে লাগালে আরাম হয় কেন?
শরীরের কোনো জায়গা মচকে গলে চুন-হলুদ গরম করে লাগলে আরাম হয় কেন?  -- জানা-অজানা


শরীরের কোনো জায়গা মচকে গলে চুন-হলুদ গরম করে লাগলে আরাম হয় কেন?  -- জানা-অজানা
শরীরের কোনোজায়গা আঘাত পেয়ে মচকে গেলে সেখানকার রক্তনালী থেকে প্রোটিন এবং জলীয় অংশ বাইরে বেরিয়ে এসে পেশির কোষগুলির ফাঁকে জমতে শুরু করে। এর ফলে জায়গাটা ফুলে ওঠে এবং ব্যথা শুরু হয়। চুন-হলুদ গরম করে মচকে যাওয়া জায়গায় লাগালে চুনের প্রভাবে ওখানকার কোষগুলি উদ্দীপিত হয়, ফলে ওই জায়গায় রক্ত-চলাচলের গতি বেড়ে যায়। গরম চুন-হলুদের তাপও এর ব্যাপারে সাহায্য করে। রক্ত-চলাচলে গতি বেয়ে যাওয়ার ফলে কোষের বাইরে জমে থাকা রক্ত-রস আবার রক্তনালীতে ঢুকে, রক্তের সঙ্গে মিশে ওখান থেকে সরে যায়। এর ফলে ফোলা কমে। ওই বিশেষ জায়গার ব্যথা সৃষ্টিকারী জিনিসগুলো রক্তের সঙ্গে মিশে শরীরে চড়িয়ে পড়ে বলে ব্যথা কমে। চুন এবং হলুদ দুইয়েরই জল শোষন করার ক্ষমতা থাকায় তা চামড়ার নীচে কোষের গায়ে জমে থাকা জল শুষে নেয়। এই কারণেও ফোলা কমে। শুধু চুন লাগালে চামড়া ক্ষয়ে যাওয়ার (যাকে সাধারণভাবে পুড়ে যাওয়া বলে) সম্ভাবনা থাকে চলেই চুন-হলুদ একসঙ্গে লাগনো হয়। তা ছাড়া, চুন-হলুদের জীবাণু প্রতিরোধক ক্ষমতা থাকায় শরীরের আঘাত পাওয়া অংশকে জীবাণুর আক্রমণ থেকেও তা রক্ষা করে।

আজকের মতো এই পর্যন্ত আগামীতে আরো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আর নতুন কিছু  পেতে নিয়মিত আমার সাইটিতে ভিসিট করুন। পোস্ট গুলো ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।

No comments: